কোনএক রাতেরশেষে ভোরের সূর্য সাথে
দেখবো তুমি আসছো ফিরে রাঙা গোলাপ হাতে।
বলবো আমি, ওমা একি! কে এলো ফের ঘরে?
যাকে আমি খুঁজিতেছিলাম এতটি দিন ধরে!
তুমি কি সেই মেয়ে
শুনাতে গান গেয়ে?
যার কন্ঠে আসতো আমার ভোরের রবি রোজ,
দিক্বিদিকে ঘুরেও আমি পাইনি তো যার খোঁজ।
তুমিই কি সে অচিন পাখি!
বলো তোমায় কোথায় রাখি?
কি ভেবে ফের আসলে ফিরে আমার কুঁড়েঘরে,
সত্যি করে বলো দেখি আমায় মনে ধরে?
সত্যি যদি ধরবে মনে, তবে কেন ফের
তোমার মুখে দেখছিনা ক্যান খুশি উচ্ছ্বাসের?
হাসছো কেনো ওমন হাসি রহস্যে যা ঘেরা,
বলো তো ঠিক কোন কারণে তোমার ঘরে ফেরা!
কদিন পরে আবার যদি উড়াল দিতে চাও
বলছি তবে যেথায় খুশি তুমি চলে যাও।
আর এসো না, আর হেসো না হাসলে লাগে বুকে,
লুকোচুরি খেলছো তুমি! ফেলে আমায় শোকে!
আর এসো না, আর খেলো না এমন লুকোচুরি,
আর হেসো না অমন হাসি লাগছে বুকে ছুরি।
দেখছি আবার একি!
কাঁদছো তুমি, সত্যি নাকি মেকি?
সত্যি বলো তোমার চোখে কিসের এত জল
ফেরার সুখে চোখ দুটো কি করছে টলমল?
নাকি আবার ছেড়ে যাবার ইচ্ছে আছে কোন!
এমন হলে কন্যা তোমায় বলছি এবার শুনো
বুকে আমি ধারণ করি সাগরসম মায়া
বুক চিতিয়ে যাচ্ছি দিয়ে হাজার লোকে ছায়া,
রোজ কত যে পথিক এসে আমার ছায়ায় বসে
নাম না জানা হাজার মানুষ থাকছে হৃদয় চষে;
এমন করে কত মানুষ আমার হৃদয়ঘরে
নিতুই দেখো সকাল সন্ধে আসাযাওয়া করে।
আমি কি তার পরোয়া করি কে গেল ঘর ছেড়ে,
চাইলে যেতে বিদায় বলি সহাস্যে হাত নেড়ে।
কেউ যদি ঠিক ঢুকতে পারে আমার মনের কোণে,
আমাকে ঠিক বাঁধতে পারে ভালোবাসার গুণে।
যত্ন করে রত্নাগারে সাজিয়ে আমায় রাখে
অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে যেমন থাকে শাঁখে।
আমিও তাকে মণিকোঠায় রাখি আপন করে
হাজার ঝড়েও দেইনা তাকে পড়ে যেতে ঝরে।
তাই,
ইচ্ছেমত আসতে পারো, যেতেও পারো, তবে
তুমি আমার কেমন স্বজন বলতে এবার হবে।
'ফেরা'
পিনিক জোন, বিজয় একাত্তর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২৬-১১-২০১৯
Post a Comment