আধা পৃথিবীর শাসনকর্তা জেরুজালেমের পথে
সাথে একজন আপন ভৃত্য, যাত্রা মদিনা হতে।
পথ চলেছেন মহান শাসক মরুর রাস্তা ধরে,
কখনোবা তিনি হেঁটে চলেছেন কখনো উটের 'পরে।
কখনো ভৃত্য টেনে চলে উট কখনো টানেন যিনি;
বিশ্বাস হয়! রশি টানছেন মহান শাসক তিনি।
জেরুজালেমের পাদ্রির দাবী খলিফা আসলে তবে
পবিত্র এই নগরীর দোর খুলবো আমরা সবে।
সেই দাবি শুনে আসছেন তিনি, ছেঁড়া জামা গায়ে তার,
একজন শুধু ভৃত্যকে নিয়ে, নেইতো প্রহরী আর।
দীর্ঘ সে পথ পাড়ি দিয়ে তিনি এলেন জেরুজালেম,
কাউকেই তিনি শাস্তি দেননি, দেখালেন তিনি প্রেম।
নিজ হাতে তিনি করলেন সাফ নবী দাউদের গোর,
সেখানে তখন জমলো সবাই শুনে বেলালের সুর।
নবী সোলেমান আর দাউদের স্মৃতি অমলিন করে,
সেখানে নামাজ পড়ালেন তিনি মহান প্রভুকে স্মরে।
বিতাড়িত হওয়া ইহুদিদেরকে দিলেন আবার ঘর,
যারা এতদিন নিজ বাসভূমে হয়ে গিয়েছিল পর।
খ্রিষ্টানদেরও তাড়াননি তিনি পবিত্র ভূমি হতে,
দেখালেন পথ কিভাবে সবাই থাকবে শান্তি মতে।
তিনি সে ওমর, যার তরবারি সর্বদা খাপ ছাড়া,
সে ওমর আজ কত দয়াবান, সন্ধিতে কাজ সারা।
তিনি সে ওমর, যার হুংকারে কাঁপতো আরব ভূমি,
মুখে কথা নয়, কথা হতো তার নাঙা তলোয়ার চুমি।
তিনি সে ওমর, যাকে ভয় পেতে খোদ মহা শয়তান,
এপথে দেখলে ওপথে পালাতো বাঁচাতে নিজের প্রাণ।
সে ওমর আজ রক্ত ছাড়াই করেছেন অভিযান,
আসলো বিজয় অবরোধ পরে না নিয়েই কোন প্রাণ।
মহান ওমর জয় করেছেন পবিত্র এ শহর,
তার হাত ধরে আসলো এবার কাঙ্ক্ষিত সে প্রহর।
পিনিক জোন
২৭-০৪-২০১৮

Post a Comment

 
Top